web design and Html গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়. এই অধ্যায় হতে প্রতিবছর প্রায় ২-৩ টি প্রশ্ন হয়ে থাকে।
Web design and Html অধ্যায়ের ৩ পার্টে আজকে পড়বো স্ট্যটিক ওয়েব সাইটের সুবিধা, অসুবিধা, ডায়নামিক ওয়েব সাইট এবং তার বৈশিষ্ট্য
, সুবিধা , অসুবিধা, ডায়নামিক ও স্ট্যাটিক ওয়েব সাইটের মধে পার্থক্য, আইপি এডড্রেস নিয়ে।
Let's Began --
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমূহ সুবিধাঃ
১। ওয়েবসাইটের পেইজ এর সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে।
২। সহজেই ওয়েবপেইজের লে-আউট পরিবর্তন করা যায়।
৩। খুব দ্রুত লােড হয়।
৪। ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা সহজ। ফলে খরচ কম।
৫। HTML এবং CSS ভাষা ব্যবহার করে উন্নয়ন করা যায়।
৬। কোনও প্রােগ্রামিং ভাষার প্রযােজন হয় না।
৭। কোন ডেটাবেজ থাকে না ।
81 ডেটাবেজ না থাকায় অধিক নিরাপদ।
৯। স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .html বা .htm হয়।
১০। কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।
১১। হাফ-ডুপ্লেক্স মােডে ডাটা ট্রান্সফার হয়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ
১। রান টাইমে কন্টেন্ট আপডেট করা যায় না।
২। কন্টেন্ট আপডেট করতে বেশি সময় লাগে।
৩। ওয়েবসাইটে তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করার জন্য কোড পরিবর্তন করতে হয়।
৪। তথ্য যুক্ত, আপডেট করে পুনরায় আপলােড করতে হয়।
৫। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না।
৬। মানসম্মত ওয়েবসাইট ডিজাইন করা কঠিন।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটঃ
যে সকল ওয়েবসাইট সাধারণত পরিবর্তনশীল তথ্য প্রদর্শন করে তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় সহজেই পরিবর্তন করা যায়। কারণ এই ধরণের ওয়েবসাইটে এডমিন বা ইউজার প্যানেল থাকে। অর্থাৎ একজন
এডমিন বা ব্যবহারকারী তার প্যানেল থেকে কোন কোড পরিবর্তন না করেই তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করতে পারে।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী একাউন্ট তৈরি করতে পারে, মন্তব্য করতে পারে, ব্লগ পােস্ট বা ইন্টারঅ্যাক্টিভিটি থাকে। ডানামিক
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয়। কারণ এই ধরণের ওয়েবসাইটে অনেক ফাংশনালিটি থাকে।
ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML, CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP (PHP: Hypertext
Preprocessor) বা ASP.Net (Active Server Page) বা JSP (Java Servlet Pages) ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ
যেমন- MySQL বা SQL বা Oracle ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
যদি প্রতিনিয়ত তথ্যের পরিবর্তন প্রয়ােজন হয়, তখন সাধারণত ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। যেমনঃ বিভিন্ন নিউজ পাের্টাল
(www.prothomalo.com), সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম (wWw.facebook.com) ইত্যাদি।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমুহ সুবিধাঃ
১। ওয়েবসাইটের পেইজ এর সংখ্যা নির্দিস্ট থাকে না।
২। ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় কোড পরিবর্তন না করেই খুব সহজে তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করা যায়।
৩। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
৪। প্রােগ্রামিং ভাষার প্রযােজন হয়।
৫। ডেটাবেজ থাকে।
৬। ফলে কুয়েরি করে যেকোন তথ্য বের করা যায়।
৭। ডাইনামিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .php বা .asp বা .jsp হয়।
৮। সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়।
৯। ফুল-ডুপ্লেক্স মােডে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ
১। ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয়, ফলে লােড হতে বেশি সময় নেয়।
২। ওয়েবসাইট ডেভলােপ করা কঠিন। ফলে খরচ বেশি।
৩। দক্ষ জনবল প্রয়ােজন।
৪। ছােট প্রতিষ্ঠানের জন্য অপ্রয়োজনীয়।
ডায়নামিক ও স্ট্যটিক ওয়েব সাইটের পার্থক্যঃ
অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট দুই প্রকারঃ
১। লােকাল ওয়েবসাইট (Local Website)
২। রিমােট ওয়েবসাইট (Remote Website)
লােকাল ওয়েবসাইটঃ
নিজস্ব কম্পিউটারে সংরক্ষিত ওয়েবসাইটকে লােকাল ওয়েবসাইট বলা হয়।। এ ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করার
জন্য ইন্টারনেট সংযােগের প্রয়ােজন হয় না।
রিমােট ওয়েবসাইটঃ
দূরবর্তী কোন কম্পিউটারে/ ওয়েব সার্ভারে সংরক্ষিত ওয়েবসাইটকে রিমােট ওয়েবসাইট বলা হয়। রিমােট
ওয়েবসাইট ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট সংযােগের প্রয়োজন হয় এবং ওয়েব এড্রেস জানার প্রয়ােজন হয়।
আইপি অ্যাড্রেস (IP address):
IP অ্যাড্রেস এর পূর্নরুপ Internet Protocol অ্যাড্রেস। ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি ঠিকানা থাকে। এ ঠিকানাকে আইপি
এসে (IP Address) বলা হয়। একটি নেটওয়ার্কের প্রতিটি IP অ্যাড্রেস অদ্বিতীয় যা নেটওযর্কের প্রতিটি নােডকে স্বতন্ত্রভাবে সনাক্ত
করতে ব্যবহৃত হয়। আইপি অ্যাড্রেসগুলাে লজিক্যাল হওযায় তারা পরিবর্তন হতে পারে।
আইপি অ্যাড্রেসের সংখ্যাগুলাে দুই ভাগে বিভক্ত:
নেটওয়র্ক অংশঃ
এটি নির্দিষ্ট করে যে এই ঠিকানাটি কোন নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত
হোস্ট অংশঃ
এটি আরও সঠিক অবস্থানটি নির্দেশ করে
আইপি এড্রেসকে শহরের কোন বাড়ির ঠিকানার সাথে তুলনা করা চলে। যেমন- কোন এলাকার রাস্তার নাম্বার এবং বাড়ির নাম্বার থাকে।
একটি রাস্তায় যত বাড়ি থাকে তাদের মধ্যে কোন দুটি বাড়ির নাম্বার কখনাে এক হতে পারে না। ঠিক তেমনি কোন নেটওয়ার্কে যুক্ত কোন
দুটো কম্পিউটারের আইপি এড্রেস এক হতে পারে না। বাড়ির ঠিকানায় যেমন- রাস্তার নাম্বার এবং বাড়ির নাম্বার থাকে, IP এড্রেসেও দুটি
অংশ নেটওয়ার্ক এড্রেস এবং হােস্ট এড্রেস থাকে।
আইপি অ্যাড্রেস দুই প্রকারঃ
1IPV4
2. IPv6
IP4:
> IPV4 হলাে Internet Protocol Version-4 |
> বর্তমানে IPV4 বহুল ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস।
> [PV4 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মােট চারটি অংশ বা অকটেট থাকে এবং প্রতি অংশে ৪ বিট অর্থাৎ মােট 32
বিট প্রয়ােজন।
যেমন: 11001011.1011011110111001.11110011
❤️part 4 Comming....